আবদুল নবী, সিবিএন
মহেশখালীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননার অভিযোগকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত উত্তম কুমার দেকে যৌথ অভিযানে বৃহস্পতিবার রাতে আটক করা হয়।
উত্তম কুমার ও এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের শাস্তির দাবিতে মহেশখালীতে বিক্ষোভ হলে সেখানে শুরু হয় দু’পক্ষের দস্তাদস্তি।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয় স্থানীয় তরুণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। মিছিলের সামনের সারিতে কারা থাকবে—এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা দেখা দেয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হলে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন আহত হন।
সাজ্জাদ পরে দুইবার ফেসবুক লাইভে এসে দাবি করেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের নেতাকর্মীরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে। তবে পরের লাইভে তিনি অভিযোগের দিক ঘুরিয়ে ‘জুলাই যোদ্ধা’ শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিনের ওপর দায় চাপান।
ঘটনার বিষয়ে জানতে শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি।
অন্যদিকে সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমরা মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন ইয়ামিনের এলাকা থেকে মিছিলসহ কিছু লোক এসে বলে প্রোগ্রাম এখানে শেষ, আর কিছু হবে না। এর পরই শুরু হয় বাকবিতণ্ডা তারপর হাতাহাতি।
তিনি আরও জানান, হামলাকারীদের মধ্যে কিছু ছাত্রলীগের কর্মী থাকলেও বেশিরভাগই জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ইতোমধ্যে হামলাকারীদের শনাক্তের কাজ চলছে।
এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে—ধর্মীয় আবেগের এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রভাব কতটা ভূমিকা রাখছে।
